সেই আয়েশার পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন - শিক্ষা উপদেষ্টা

এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে গিয়ে কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছানোয় পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থী আয়েশার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।

ওই দিন রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পারায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি আয়েশা।

শুক্রবার (২৭ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা বিবেচনা করা হচ্ছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার বলেন,

“আয়েশার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষাটি নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই দুঃসময়ে আমরা তার পাশে রয়েছি এবং তাকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

জানা গেছে, আয়েশা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী। তার বাবা নেই, এবং মা সম্প্রতি স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরীক্ষার দিন সকালে মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় আয়েশাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা খালা গণমাধ্যমকে জানান, “সকালেই আয়েশার মা স্ট্রোক করেন। তাই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।”

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তারা দাবি করেছেন, মানবিক বিবেচনায় আয়েশাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।