শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে অবশেষে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) কর্তৃপক্ষ ২২ জন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত মোস্তাসির বিল্লাহ জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনি আরও বলেন, “আশা করছি শিক্ষার্থীরা এবার ক্লাসে ফিরে আসবে। তবে এরপর কেউ আন্দোলনে নামলে তার দায়-দায়িত্ব তাকে নিজেকেই নিতে হবে।”
এর আগে শনিবার সকালে পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং এতে কয়েকজন আহত হন। তারা পুলিশের এ আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে’ অংশ নেওয়ার জেরে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক বহিষ্কার করা হয়। তারা দাবি করেন, দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ধারাবাহিকভাবে ন্যায়বিচারের আবেদন জানালেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী লাবিব মুহান্নাদ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ায় যেসব শিক্ষার্থী প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের শাস্তি দিতেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের আট মাস আশ্বাস দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, পরে ফের আন্দোলনে নামতেই প্রশাসন দমনমূলক সিদ্ধান্ত নেয়।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছেন, সেগুলো হলো:
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যেন পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়, সে লক্ষ্যে তারা সতর্ক থাকবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: