বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জেও শিক্ষার্থীরা সরে যাননি। যদিও একবার রাস্তা ফাঁকা হয়, তবে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে তারা পুনরায় সড়কে অবস্থান নেন।
ফলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী উভয় পাশের সড়কে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নতুনবাজার মোড়ে তাদের অবরোধ চলবে।
তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দ্রুত দাবি মানা না হলে তারা 'ঢাকা ব্লকেড' কর্মসূচির মতো বৃহত্তর পদক্ষেপে যেতে বাধ্য হবেন।
১. অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত সব শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার এবং তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক প্রভাব ও সিন্ডিকেটের দমন।
৩. প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করা।
৪. শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মুস্তাসিম ফুয়াদ বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন শুধু ইউআইইউ নয়, বরং দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত প্রতিবাদ।”
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সড়কে অবস্থান নিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে ইউআইইউ উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
পরে ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হয়, কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি ক্লাস এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা দাবি করে আসছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: