শিক্ষা ভবনে প্রবেশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পরিচয়পত্র প্রদর্শন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং অধীনস্থ প্রকল্প ও উইংয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বহিরাগতদের তদবির ও অব্যাহত বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) গভীর রাতে জারি করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেবল অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারীরাই শিক্ষা ভবনে প্রবেশ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষা ভবনে প্রতিদিন শত শত মানুষ নিয়োগ, বদলি, এমপিও, অডিট ও বকেয়া বিল সংক্রান্ত নানা কাজে আসেন। এ কারণে ভবনটিতে বিশৃঙ্খলা, এমনকি কখনো কখনো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।
সম্প্রতি সরকারি কলেজে প্রদর্শক পদে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ফলপ্রত্যাশীরা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে এক আন্দোলনকারী শিক্ষা ভবনের মহাপরিচালকের (ডিজি) গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন, ডিজিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এর আগে দুপুরে ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
ফলপ্রত্যাশীদের দাবি, ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। এক বছর আগে ভাইভাও নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো প্রদর্শক ও গবেষণা সহকারী পদের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। তারা জানান, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। তাই তারা বাধ্য হয়ে অনশন ও বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা ভবনের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, “আমি বিষয়টি অবগত আছি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এসআর
মন্তব্য করুন: