খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত অংশীদার না হয়েও নিজেকে এ প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মো. মিজানুর রহমান এবং অন্যায্য ভাবে দখল করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টি ।
মঙ্গলবার রাজধানির ঢাকা রিপোর্টআরস ইউ নিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।
বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিথ ছিলেন।
তারা অভিযোগ করেন যে মিজানুর রহমান এ পদ বাগিয়ে নিতে সাবেক চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই, তিনি গোপন সভা করে নিজেকে নির্বাচিত করেছেন।
গত ২৬ মে সকালে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব ) ড. সাহিদা খানম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় মো. মিজানুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে অধিকাংশ ট্রাস্টি মেম্বার উপস্থিত ছিলেন না, আর যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান পরিবর্তন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি।
কৌশলে এ পদটি তিনি দখল করে নিয়েছেন। আর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদিত অংশীদার (ট্রাস্টি) নয়।
যে অনুমোদিত অংশীদার নয়, সে কি করে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন? এ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন এসব করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিলেন। বিভিন্ন আইনগত বাধার কারণে এতে বিপাকে পড়বেন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২১ জন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারেন। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে আঠারো জন ট্রাস্টি ছিলেন।
বাকি তিনজন ট্রাস্টির পদ পূরণের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও মো. আজিজুল হকের নাম ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) পাঠানো হয়। তবে আরজেএসসি থেকে তাদের এখনো ট্রাস্টি হিসেবে অনুমোদন করেনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: