ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ের মধ্য দিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল।
তবে লাল বলের পরীক্ষায় সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচের চার দিনের সিরিজে একটি হার ও একটি ড্রয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হলো সোহানদের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭০ রানে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু প্রকৃতির নিষ্ঠুরতায় ক্রিকেট যেমন অসহায়, মিরপুর টেস্টেও বৃষ্টির আধিপত্যই ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। টানা তিন দিন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকায় ব্যাট-বলের লড়াইয়ের বদলে অপেক্ষা ছিল বেশি। শেষ দিনেও নাটকীয়তা এলো না—সমাপ্তি হলো নিষ্প্রাণ ড্রয়ে। ফলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় কিউইরা।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ব্যাট করে তোলে ৩৫৭ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল করে ৩৭৯ রান, ফলে পায় ২২ রানের লিড। কিউইদের ইনিংসে শতক হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটার নিক কেলি, যিনি প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন। দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সিরিজসেরা খেলোয়াড়।
শেষ দিনের শুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ না থাকায় দুই দল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সম্মত হয় খেলা বন্ধ করতে। বাংলাদেশের রান তখন ছিল ২ উইকেটে ৮৭। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৪, সাইফ হাসান ১৬ রান করে আউট হন। অপরাজিত ছিলেন জাকির হাসান (২৪) ও অমিত হাসান (২১)।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে সফল ছিলেন অফস্পিনার নাঈম হাসান, যিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। পেসার খালেদ আহমেদ নেন ৩টি।
এই সিরিজে কিছু উদীয়মান ক্রিকেটার ভালো পারফর্ম করলেও সামগ্রিকভাবে পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাবই চোখে পড়েছে। বিশেষ করে ঘরের মাঠে সিরিজ হাতছাড়া হওয়া প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার ঘাটতির বিষয়টি সামনে এনেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: