[email protected] মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

আইইউবিএটি ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২৫ ১:০১ এএম

ফাইল ছবি

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা করেছেন।

পাশাপাশি, আজ  রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আগুলিয়া ব্রিজে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, পূর্বে দেওয়া দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা ক্যাম্পাস শাটডাউনসহ অবরোধ কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারসহ মোট ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. পূর্বে উত্থাপিত দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
  2. একই দিনে একাধিক পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং ছুটির দিনে পরীক্ষা আয়োজন বন্ধ করতে হবে।
  3. রিডিং ডে’র ছুটি বৃদ্ধি করতে হবে।
  4. মিড টার্ম পরীক্ষাগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে না নিয়ে ডিপার্টমেন্টভিত্তিক নিতে হবে।
  5. কোনো অতিরিক্ত ফি ছাড়া সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
  6. বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক পদে পুনর্বহাল করা যাবে না।
  7. ইউজিসি নিয়ম অনুযায়ী ডিপার্টমেন্টাল ডিন প্রতি দুই বছর অন্তর পরিবর্তন করতে হবে।
  8. নামাজের আজানের পর অন্তত ২০ মিনিট ক্যাম্পাসে গান-বাজনা বন্ধ রাখতে হবে এবং মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  9. বিভিন্ন ব্যাচের স্কলারশিপ ফি’র পার্থক্যের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।
  10. কনভোকেশনে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্তত দুইজন অতিথির প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
  11. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি কমনরুম, স্যানিটারি প্যাড ও ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
  12. ক্লিনার ও নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য খাবারের নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করতে হবে।
  13. ক্লাস চলাকালে ক্যাম্পাসে শুটিং বন্ধ করা এবং শুটিংয়ের নামে অশালীনতা ও ধূমপান নিষিদ্ধ করতে হবে।
  14. ইন্টার্নশিপের পাশাপাশি অন্তত ৬ ক্রেডিটের কোর্স নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং ইন্টার্ন ও থিসিসের ক্রেডিট ফি’র ব্যয় কোথায় হয়, তা পরিষ্কার করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন, ২০ রমজানের পরবর্তী একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করতে হবে এবং ঈদের পরবর্তী ছুটি বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলেও তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর