২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এর আগে, পূর্ববর্তী রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল ৮ মে। তবে নতুন রুটিনে সময়সীমা পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষার সূচনা হবে বাংলা প্রথমপত্রের মাধ্যমে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ১০ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত।
শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে, যা প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই মানতে হবে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি (MCQ) এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (CQ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, এবং উভয়ের মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
4. পরীক্ষার কমপক্ষে তিন দিন আগে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও ক্যারিয়ার শিক্ষার ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর প্রতিষ্ঠান সরাসরি বোর্ডে পাঠাবে।
৬. উত্তরপত্রের OMR ফরমে সঠিকভাবে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিষয় কোড লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮. কেবল নিবন্ধনপত্রে উল্লিখিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
৯. কোনো পরীক্ষার্থী তার নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না; আসন বিন্যাসের মাধ্যমে কেন্দ্র পরিবর্তন করা হবে।
১০. পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মুঠোফোন ব্যবহার বা বহন করতে পারবে না।
১২. প্রতিটি পরীক্ষার জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে বা এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার এই নতুন সময়সূচি এবং নির্দেশনাগুলো শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ও পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সময়মতো উপস্থিতি, নির্দেশনাগুলো অনুসরণ এবং নির্ধারিত নিয়ম মেনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে
এসআর
মন্তব্য করুন: