খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে।
কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তার ছাত্রত্ব বাতিলসহ আজীবন বহিষ্কার করা হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম।
শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্তের জন্য কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সহ-উপাচার্য জানান, সংঘর্ষে জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আর জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
এদিকে সংঘর্ষের পরও কুয়েট ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল সেন্টারে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন এবং তার পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: