[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

সুযোগ পেয়েও মেডিকেলে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত প্রান্তির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৮:৪৪ পিএম

ফাইল ছবি

মেধাবী শিক্ষার্থী প্রান্তি বিশ্বাস, যিনি এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন, এবার প্রথমবারের মতো মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

তবে, তার পরিবারের জন্য এটি সুখবরের চেয়ে দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, অর্থকষ্টের কারণে প্রান্তি ও তার পরিবার ভর্তি ফি এবং লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারছে না।

প্রান্তি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর গ্রামের রমেন বিশ্বাস ও চঞ্চলা বিশ্বাসের মেয়ে। তার পরিবারে রয়েছে আরও এক ছেলে, যিনি একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে বেকার অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য তার বাবা, যিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন।

প্রান্তি জানায়, তার বাবা ধারদেনা করে তাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছেন, কিন্তু এখনও এক পাওনাদার মামলাও করেছে তার বিরুদ্ধে। প্রান্তি বলেন, "আমার বাবা দিনে মাত্র পাঁচশো টাকা আয় করেন, কখনো আবার কাজও থাকে না। সংসারের জন্য তার আয়ে কোনো মতে চলে, কিন্তু আমার পড়াশোনার খরচ কেমনে দিবে?"

প্রান্তির মা চঞ্চলা বিশ্বাস বলেন, "আমার মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। সে সকল শ্রেণিতেই প্রথম হয়েছিল। এখন সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে, কিন্তু অভাব তাকে থামাতে পারেনি। তবে, ভর্তি ও পরবর্তী পড়াশোনার খরচ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।"

কানাইপুর বেগম রোকেয়া কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল দত্ত বলেন, "প্রান্তি অত্যন্ত মেধাবী। শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধুলাতেও সে জেলা চ্যাম্পিয়ন। বর্তমানে সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে, কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। আমরা যদি সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলে সে তার পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে।"

এদিকে, প্রান্তির ভর্তি ও লেখাপড়ার খরচের জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেছেন তার পরিবার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর