জুলাই অভ্যুত্থানের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন ও মানববন্ধনের পর মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা এই পদক্ষেপকে স্বস্তিদায়ক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় তারা চরম আর্থিক সংকটে ছিলেন।
অনেক শিক্ষক মনে করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ না থাকায় তদন্ত তাদের পক্ষেই যাবে।
ভুক্তভোগীদের দাবি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার শিক্ষক জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয়েছেন এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এক ভুক্তভোগী শিক্ষক আনোয়ার ইসলাম তালুকদার বলেন, “শিশুদের সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা স্বার্থান্বেষী মহলের আক্রোশের শিকার হয়েছি। এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য চরম হতাশাজনক এবং অমানবিক।
তিনি আরও জানান, অনেক শিক্ষক আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন, কেউ চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন, আবার কেউ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য স্থানান্তরিত হয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা দ্রুত তাদের পদে পুনর্বহাল এবং প্রাসঙ্গিক প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: