কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঘোষিত যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেও ডাক পেয়েছেন মোবারক হোসাইন নামের এক প্রার্থী।
মোবারক হোসাইন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।
কিন্তু মোবারক হোসাইন ২০০৩ সালে কুমিল্লা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৯০ পেয়েছিলেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যোগ্যতার শর্ত শিথিল করার কোনো বিধান ছিল না। তা সত্ত্বেও মোবারক হোসাইনকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেছেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। আমরা বিষয়টি রেজিস্ট্রার অফিসে জানিয়েছি। এখন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ডিন ড. মুহম্মদ আসহান উল্লাহ বলেন, "যোগ্যতার শর্ত পূরণ ছাড়া কাউকে নেওয়া সম্ভব নয়। এটি ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করা উচিত।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, "বাছাই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে প্রার্থী বাদ পড়তে পারে। বিষয়টি সিলেকশন বোর্ড যাচাই করবে।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, "সিলেকশন বোর্ড প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করবে। তবে এ ঘটনায় প্ল্যানিং কমিটিকে শোকজ করা হবে।"
উল্লেখ্য, মোবারক হোসাইন পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে তার পিএইচডি থিসিসে কপি-পেস্ট এবং ভাষাগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: