সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষা উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। যদি আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব না দিই, তবে দেশ পিছিয়ে যাবে।
অতীতের অনেক ভুলের কারণে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থান থেকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।”
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মিলন বলেন, “একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্লোবালাইজেশনের যুগে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। যেমনভাবে দুদক বা নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট খাতে কাজ করে, ঠিক তেমনিভাবে শিক্ষা কমিশনও কার্যকর হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করতে হলে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে মো. নাহিদ ইসলাম, মজিবুর রহমান মঞ্জু, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসির উদ্দিন নাসির, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দেন মাহফুজ আলম, শারমিন মুর্শিদ, ড. বদিউল আলম মজুমদার, মাহমুদুর রহমান মান্না, হোসেন জিল্লুর রহমান, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, আন্দালিব রহমান পার্থ, নুরুল হক নুর, নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ।
ড. মিলন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের আহ্বান জানান।
এসআর
মন্তব্য করুন: