নারী শিক্ষকদের কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার ও পুরুষ শিক্ষকদের দুইবার বদলির সুযোগ রেখে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য প্রণীত এই নীতিমালায় স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। একই সঙ্গে ২০২৪ সালের আগস্টে জারি করা পুরনো নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে।
বদলির জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকবে ১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
শূন্যপদ প্রকাশের দায়িত্ব এনটিআরসিএর, যা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।
1. চাকরিতে প্রথম যোগদানের দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে।
2. নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কাজ করতে হবে।
3. পুরুষ শিক্ষকরা সর্বোচ্চ দুইবার এবং নারী শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনবার বদলি হতে পারবেন।
4. একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী এবং দূরত্ব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বদলি আদেশের ১০ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।
নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের তথ্য এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনলাইনে জানাতে হবে।
কর্মস্থল পরিবর্তনের পর শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
বিশেষ শর্ত
বদলির আবেদন অধিকার হিসেবে গণ্য হবে না।
বদলির ফলে টিএ/ডিএ ভাতা প্রদান করা হবে না।
ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে শাস্তি আরোপ করা হবে।
সফটওয়্যার ব্যবহারে স্বচ্ছতা
বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। মাউশি সফটওয়্যার তৈরি এবং আবেদন ফরম নির্ধারণ করবে। এভাবে বদলির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, বদলিকৃত শিক্ষকদের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দিক
এটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: