সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করতে গেছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. জাবেদ ইকবাল জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. এম আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. তোয়াহা ও কাউসার।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা "তিতুমীরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই", "টিসি না টিইউ", "ডিমান্ড টু গুলশান", "তিতুমীর ভার্সিটি" ও "অধ্যক্ষ না ভিসি, ভিসি ভিসি"—এমন স্লোগান দেন। মঙ্গলবার দুপুরে ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা, এবং বেলা ১১টার দিকে তারা কলেজের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
এ সময় পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেও শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে পরে তারা ফিরে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ জানান। একই সময়ে, মহাখালী রেলগেট থেকে রাওয়া ক্লাবের সামনে পর্যন্ত সড়কে সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য অবস্থান নেন।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় দাবি নিয়ে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেছেন:
1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা।
2. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা।
3. তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাস্তবমুখী রূপরেখা প্রণয়ন করা।
এ আন্দোলনটি এখনো চলছে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে যাচ্ছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: