বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক ফি ও অন্যান্য খাতে অর্থ আদায়ের জন্য নতুন নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট খাত ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না এবং অর্থ নির্দিষ্ট খাতে খরচ করতে হবে।
এমপিওভুক্ত কলেজের ফি
মহানগরের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ৩,৬৬০ টাকা নিতে পারবে, যা ২৬টি নির্দিষ্ট খাতের আওতায় থাকবে।
জেলা সদর, পৌর ও উপজেলা সদরের এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে এই ফি সর্বোচ্চ ২,৫৭৫ টাকা।
মফস্বল এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১,৬৪৫ টাকা।
নন-এমপিও কলেজের ফি
মহানগরের নন-এমপিওভুক্ত কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ৪,৩৩০ টাকা আদায় করতে পারবে।
জেলা সদর, পৌর ও উপজেলা সদরের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ২,৯৯৫ টাকা আদায় করতে পারবে।
মফস্বলের নন-এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে এই ফি সর্বোচ্চ ১,৯৯০ টাকা।
টিউশন ফি নির্ধারণ কমিটি
টিউশন ফি নির্ধারণের জন্য মহানগর এবং জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মহানগর পর্যায়ে ১০ সদস্যের কমিটি থাকবে, যার সভাপতি হবেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি/সার্বিক) এবং সদস্যসচিব হবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপপরিচালক।
জেলা সদর, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ে ৭ সদস্যের কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন জেলা প্রশাসক এবং সদস্যসচিব হবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
অন্যান্য নিয়মাবলি
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিনিধি নির্বাচন করে কমিটির সভাপতিকে অবহিত করবেন। নভেম্বরের মধ্যে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের মাসিক বেতন নির্ধারণ করা হবে।
আদায়কৃত অর্থ তফসিলি ব্যাংকের নির্দিষ্ট হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং শুধুমাত্র নির্ধারিত খাত অনুযায়ী খরচ করতে হবে। কোনো খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: