২০০৭ সাল থেকে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কার ও পরিমার্জন কার্যক্রমে জড়িত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা গল্প-প্রবন্ধ পাঠ্যবই থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তার লেখা বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তিনি সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার লেখা সব কন্টেন্ট বাদ দেওয়া হবে এবং তার নামও আর সম্পাদনায় উল্লেখ করা হবে না।
এনসিটিবির সম্পাদনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির বাংলা বইয়ে থাকা জাফর ইকবালের “মহাজাগতিক কিউরেটর” গল্পটি বাদ দেয়া হবে। এছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ের পাঠ্যবইগুলো থেকেও তার লেখা পুরোটাই বাদ পড়ছে।
বর্তমানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যকর রয়েছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা ছিল।
তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিত করেছে। ফলে পুরোনো শিক্ষাক্রমই পুনরায় কার্যকর হচ্ছে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির জন্য সক্রিয় শিক্ষণ প্রক্রিয়া বজায় রেখে নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে পাঠ্যবই দেয়া হলেও কিছু পরিমার্জন আনা হচ্ছে।
তবে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাচ্ছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই হবে ২০১১ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বই হবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী।
এছাড়া, পুরোনো শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে। পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ২৩টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত, যেখানে নতুন শিক্ষাক্রমে বিষয়ের সংখ্যা ছিল কম।
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণিতে উঠে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার উপর ভিত্তি করে ২০১২ শিক্ষাক্রমের আলোকে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পাবে।
এনসিটিবির তথ্যানুসারে, পুরোনো শিক্ষাক্রমের বইগুলো পরিমার্জন শেষে পুনর্মুদ্রণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: