[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১১ পৌষ ১৪৩২

বড়দিন নিয়ে রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

রাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৫৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন।

এ দিনটি ঘিরে শান্তি, ভালোবাসা ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) খ্রিস্টধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও বড়দিন উদযাপন করেছেন আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে।

বড়দিন উপলক্ষে রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অনুভূতি তুলে ধরেছেন প্রতিদিনের বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অর্জন চাকমা বলেন,
“সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের আরও একবার বড়দিন উদযাপনের সুযোগ দিয়েছেন। যিশু খ্রিস্ট আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন—এর জন্য আমি তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি চাই, ঈশ্বরের এই ত্যাগ ও ভালোবাসার বার্তা যেন সারা পৃথিবীর মানুষ জানতে পারে এবং তাঁকে বিশ্বাস করে।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন ত্রিপুরা বড়দিন নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বড়দিন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে আনন্দের ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। কারণ এই দিনে আমাদের মুক্তিদাতা যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছেন। বছর ঘুরে আবারও বড়দিন এসেছে। তাই সবাইকে জানাই বড়দিনের শুভেচ্ছা ও অশেষ ভালোবাসা। এবারের বড়দিন বাংলাদেশসহ সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি বয়ে আনুক—এই কামনা করি।”
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী কেথি বম বলেন,
“বড়দিন শুধু একটি উৎসব নয়, এটি ভালোবাসা, শান্তি ও ক্ষমার প্রতীক। যিশু খ্রিস্টের জন্ম আমাদের শেখায়—আলো সবসময় অন্ধকারকে জয় করে এবং ভালোবাসা ঘৃণার চেয়েও শক্তিশালী।

একটি সাধারণ গোয়ালঘরে জন্ম নিয়েও তিনি মানবতা, ত্যাগ ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তাঁর জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—অহংকার নয়, বিনয়ই প্রকৃত শক্তি; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ। বড়দিনে চারপাশে আলো ঝলমল করলেও প্রকৃত আলো জ্বলে মানুষের হৃদয়ে। এই উৎসব আমাদের জীবনে শান্তি, আশা ও মানবপ্রেম নিয়ে আসুক। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।”
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রুথিনা বেসরা বলেন,
“সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। পরিবারের সবার সঙ্গে বড়দিন কাটুক হাসি, আনন্দ ও ভালোবাসায়।

ছোটবেলার মতোই এবারও বড়দিনে আলাদা আনন্দ অনুভব করছি এবং আশা করছি এবারের বড়দিন খুব সুন্দরভাবে কাটবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর