চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মাত্র এক দিনের
ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা কমে ৯০ টাকায় নেমেছে। তবে রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে সেই প্রভাব এখনো পুরোপুরি দেখা যায়নি। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ কোথাও ১৩০ টাকায়, আবার কোথাও ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিছু এলাকায় গত দিনের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
মুগদা ও মানিকনগর এলাকার বাজারে পুরোনো পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০–১৪০ টাকা, আর হাতিরপুলে একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা দরে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, অনেক ব্যবসায়ী আগের উচ্চদামে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন, তাই পুরোনো স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাই দাম কমাতে পারছেন না। যেসব ব্যবসায়ী নতুন কমদামে পেঁয়াজ সংগ্রহ করেছেন, তারাই এখন কম দামে বিক্রি শুরু করেছেন। সব বাজারে দাম নেমে আসতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে।
এক সপ্তাহ আগে কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন—চাষিদের স্বার্থ বিবেচনায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি, কারণ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা উৎপাদনে অনাগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু তার এই বক্তব্যকে ভিত্তি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়িয়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে যায়।
পরে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ঘোষণা আসতেই পাইকারি বাজারে আবার কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দাম কমে যায়। এখন সারা দেশের খুচরা বাজারে সেই মূল্যহ্রাসের প্রতিফলন দেখতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: