সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
কয়েক দিন আগে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়ানোর যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা সরকার বাতিল করলেও এবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির অনুমোদন মিলেছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের মূল্য ১৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৩ টাকা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নতুন দাম সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে কয়েক দফা আলোচনায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা লিটারপ্রতি ৯ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়নি। পরবর্তী আলোচনার পর অবশেষে ৬ টাকা বৃদ্ধি অনুমোদন পায়।
সংগঠনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন হিসেবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৯৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।
পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৫৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলার নতুন দাম লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা এবং পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৬ টাকা।
জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে তেলের মূল্য সমন্বয়ের জন্য ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করে আসছিলেন।
গত মাসে তারা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং ২৪ তারিখ থেকে কার্যকরেরও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
ব্যবসায়ীরা সেই অনুযায়ী দাম বাড়িয়ে বাজারজাত করাও শুরু করেন।
তবে বিষয়টি জানাজানি হলে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া তেলের দাম বাড়ানো আইনসঙ্গত নয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের শোকজও করা হয়।
পরবর্তীতে গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুনরায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও দাম বৃদ্ধির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
অবশেষে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়ার পর নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে।
এর আগেও দুই দফায় মূল্য সমন্বয়ের চেষ্টা হলেও মন্ত্রণালয় তা আটকে দিয়েছিল এবং ট্যারিফ কমিশনের হিসেব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এসআর
মন্তব্য করুন: