চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ দেশের জন্য সুফল
আনতে পারে, তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সরকারকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে চুক্তিপ্রক্রিয়া এবং শর্তাবলিসহ সমস্ত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ধরনের বিনিয়োগ অবশ্যই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শুভেচ্ছাযোগ্য, তবে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় চুক্তির প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠান এখানে জনসেবা বা চ্যারিটি করতে আসেননি, তাদের উদ্দেশ্য মূলত মুনাফা অর্জন। তাই সরকারের উচিত দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক লাভ-ক্ষতি এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে প্রতিরোধমূলক শর্তাবলী চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এছাড়া, চুক্তির প্রভাব কর্মসংস্থান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনের ওপর কী প্রভাব ফেলবে এবং দেশের দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর অবদান কতটুকু, তা মূল্যায়ন করা হয়েছে কি-না, তা প্রকাশ করা প্রয়োজন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও উল্লেখ করেছেন, লালদিয়া চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যেমন কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন, নেগোসিয়েশন, বন্দর বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, লেটার অব অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া পানগাঁও চুক্তি প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে হয়েছে, অথচ লালদিয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম প্রক্রিয়া কেন অনুসরণ করা হয়েছে, তা সরকারকে ব্যাখ্যা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি অপারেটরের মুনাফার বিনিময়ে রাষ্ট্রের অর্জন, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দায় পরিশোধের সক্ষমতা এবং দেশের জনগণের আর্থিক লাভ-ক্ষতির বিষয়টি কস্ট-বেনিফিট বিশ্লেষণসহ প্রকাশ করা হয়নি। তাই এই সব তথ্য স্বচ্ছভাবে জনসাধারণকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।
এসআর
মন্তব্য করুন: