[email protected] রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিকাশ অ্যাপ থেকে ৫০ লাখ ডিপিএস খোলা হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৮:৫০ এএম

বিকাশ অ্যাপ থেকে ডিপিএস সুবিধা চালুর মাত্র চার বছরের

মধ্যেই গ্রাহকরা বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৫০ লাখেরও বেশি ডিপিএস। অ্যাপটির মাধ্যমে দিনে বা রাতে যেকোনো সময় মাত্র ২৫০ টাকা থেকে সহজেই সঞ্চয় পরিকল্পনা শুরু করা যায়। এক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস খোলার সুযোগ থাকায় এই অর্জন দ্রুতই সম্ভব হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আর প্রযুক্তির সমন্বয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও শক্তিশালী করে। সেই চিন্তা থেকে বিকাশ তাদের প্ল্যাটফর্মে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস সেবা যুক্ত করেছে—যা মূলধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও প্রান্তিক গ্রাহকদের মধ্যে কার্যকর সংযোগ তৈরি করেছে।

২০২১ সালে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মাসিক ডিপিএস সেবা দিয়ে ডিজিটাল সেভিংস যাত্রা শুরু করে বিকাশ। পরবর্তীতে ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক এই সেবায় যোগ দেয়। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সুবিধাও চালু হয়। ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক সঞ্চয় ব্যবস্থায় আগ্রহীদের জন্য দুটি ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবাও রয়েছে।

বিকাশ অ্যাপ থেকে খোলা ডিপিএসের মধ্যে ৩০ শতাংশই নারীদের নামে। এছাড়া ডিপিএস খুলে থাকা গ্রাহকদের ৮০ শতাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে বসবাস করেন। দেশের সব জেলাতেই বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয় খোলার ঘটনা ঘটেছে—যার অর্থ, প্রযুক্তির সহায়তায় আর্থিক সেবা দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছে গেছে, বিশেষ করে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর কাছে।

আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—মোট ডিপিএসের ৫৫ শতাংশ খোলা হয়েছে ব্যাংকিং সময়ের বাইরে। এটি দেখায় যে গ্রাহকরা নিজের সুবিধামতো সময়ে সঞ্চয় করতেই বেশি পছন্দ করেন। এক জরিপে দেখা গেছে, যেসব গ্রাহকের ডিপিএস ইতোমধ্যে মেয়াদপূর্ণ হয়েছে, তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নতুন ডিপিএস খুলতে আগ্রহী।

প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসের ধরন অনুযায়ী গ্রাহকরা ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা দিতে পারেন। নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিনে ‘সেভিংস’ অপশনে গিয়ে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করলেই হয়। নির্দিষ্ট দিনে স্বয়ংক্রিয় কিস্তি জমা হওয়া, মোট সঞ্চয় কত হলো, জমা সুদ—সবই অ্যাপ থেকে তাৎক্ষণিক দেখা যায়। আর মেয়াদ শেষ হলে ‘ক্যাশ আউট’ চার্জ ছাড়াই গ্রাহকরা মূল টাকা এবং মুনাফা তুলতে পারেন।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর