[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বেচবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৪৮ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংক তার মতিঝিল অফিসসহ দেশের অন্যান্য কিছু

শাখা থেকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। বন্ধ হওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে—সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি, ছেঁড়া-ফাটা নোট বদল, সরকারি চালান সংক্রান্ত সেবা এবং ভাংতি টাকা প্রদান।

এই পরিবর্তন আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। ধাপে ধাপে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় অফিসেও এই সেবা বন্ধ করা হবে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্রাহকরা এই সেবা পেতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিত করবে যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নির্বিঘ্নে সেবা দিতে সক্ষম হবে। গ্রাহকদের সচেতন করতে শিগগিরই প্রচারণা চালানো হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত জুনে মতিঝিল অফিসের ক্যাশ বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ক্যাশ বিভাগের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এরপর একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর আগে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন।

বন্ধ হওয়া সেবাগুলো

মতিঝিল কার্যালয়ে ২৮টি কাউন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ কাউন্টারের মাধ্যমে প্রদত্ত পাঁচটি সেবা বন্ধ হবে। ডিসেম্বর থেকে নগদ সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি, সরকারি ট্রেজারি চালান গ্রহণ, ছেঁড়া-ফাটা নোট ও ভাংতি টাকার পরিবর্তনসহ এই সেবা বন্ধ হবে।

তবে ১৬টি কাউন্টারে কিছু সেবা চালু থাকবে, যেমন—ধাতব মুদ্রা বিনিময়, স্মারক মুদ্রা বিক্রি, অপ্রচলিত নোটের বিরোধ নিষ্পত্তি ও ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন। ভবিষ্যতে অন্যান্য বিভাগেও এই সেবা ধাপে ধাপে বন্ধ হবে।

বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস থেকেও সঞ্চয়পত্র এবং প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। ছেঁড়া-ফাটা নোট বদল এবং চালান সেবাও এসব প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে। তবে গ্রাহকরা নিরাপত্তা ও আস্থার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংককেই বেশি ভিড় করেন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্রের মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি মতিঝিল অফিসে রয়েছে।

গত মাসে মতিঝিল অফিসে সঞ্চয়পত্রের সার্ভার জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। আরও দুইজনের ৫০ লাখ টাকার চেষ্টা শেষ মুহূর্তে রোধ করা হয়। এই ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সঞ্চয়পত্রের জালিয়াতির কারণে সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি; এটি মূলত উচ্চ নিরাপত্তা নীতিমালার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর