[email protected] শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২

গত আট মাসের মধ্যে প্রথমবার রপ্তানি কমলো চীনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২৫ ৫:০৮ পিএম

প্রায় আট মাস পর প্রথমবারের মতো গত অক্টোবর মাসে চীনের


রপ্তানিতে পতন ঘটেছে। বাণিজ্য উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই হ্রাস ঘটে, এমন সময় যখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বছরের হিসেবে অক্টোবর মাসে চীনের মোট রপ্তানি ১.১ শতাংশ কমে গেছে। অথচ ব্লুমবার্গের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রপ্তানি প্রায় ২.৯ শতাংশ বাড়তে পারে।
একই সময়ে আমদানি বেড়েছে ১.০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হলেও ব্লুমবার্গের ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের নিচে রয়েছে। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস।

অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিং ও ট্রাম্পের বৈঠকের পর দুই দেশের চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্বে সাময়িক বিরতি আসে।
এর কিছুদিন আগেই বেইজিং দুর্লভ ধাতু প্রযুক্তি রপ্তানির ওপর নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল—যে খাতে চীন বিশ্বের প্রধান সরবরাহকারী। এসব ধাতু প্রতিরক্ষা শিল্প ও গাড়ি নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল। তবে কোরিয়া বৈঠকের পর সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই বৈঠককে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ বলে উল্লেখ করেন।

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে ১০ শতাংশ করেছে। পাল্টা উদ্যোগ হিসেবে চীনও দুর্লভ ধাতুর রপ্তানিতে আরোপিত সীমাবদ্ধতা শিথিল করেছে, যা ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এছাড়া মার্কিন কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ফসল—বিশেষ করে সয়াবিনসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় বেইজিং।

কাস্টমসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের আমদানি মাসওয়ারি হিসেবে ১১.৬ শতাংশ কমেছে, অন্যদিকে চীনের যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ১.৮ শতাংশ।

পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং জানিয়েছেন, মার্কিন বাজারে অতিরিক্ত শুল্কের আশঙ্কায় চীনা রপ্তানিকারকেরা আগেই কিছু চালান সম্পন্ন করেছিলেন। তার মতে, যেহেতু বাণিজ্য বিরোধ এখন অন্তত এক বছরের জন্য স্থগিত, তাই রপ্তানি পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় চীনের উচিত এখন অভ্যন্তরীণ বাজার ও চাহিদা বাড়ানোর দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর