[email protected] মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
২০ কার্তিক ১৪৩২

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাজুসের সভাপতি নির্বাচিত দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২৫ ৯:৩৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভোর্সের মালিক ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।

সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে তৎকালীন কমিটি এনামুল হক দোলনকে সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছিল। তবে সম্প্রতি সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তার সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হয়। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ সমঝোতার ভিত্তিতে দোলনকে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

নতুন কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.)-এর রনজিৎ ঘোষ।
সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন—

  • আপন ডায়মন্ড হাউসের আজাদ আহমেদ,
  • জড়োয়া হাউস (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায়,
  • এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সি জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ।
এছাড়া পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরও ২৯ জন সদস্য।

নির্বাচন বোর্ড জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঘোষণায় বলা হয়, বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচিত পদের সমান হওয়ায় মোট ৩৫ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে এবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পদটি বিলুপ্ত করা হয়েছে, যা বাজুসের ইতিহাসে প্রথম।

নতুন সভাপতির প্রতিক্রিয়া

নির্বাচনের পর প্রতিক্রিয়ায় সভাপতি এনামুল হক খান দোলন বলেন,

“দেশে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ থাকলেও প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। আমদানির বর্তমান ব্যবস্থায় সোনার দাম এত বেড়ে যায় যে ক্রেতারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাই আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন,

“যতদিন স্বর্ণ আমদানির প্রক্রিয়া সহজ না হয়, ততদিন ‘ব্যাগেজ রুল’-এর আওতায় স্বর্ণ আনার পূর্বের ব্যবস্থা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি এক জিনিস নয়। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কখনোই অবৈধ পথে স্বর্ণ আনে না। এ বিষয়ে সমাজে পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে হবে।”

মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, কর্ণধার বাবলু দত্ত, গণেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মণ্ডল, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর