বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদন করেছে ১২টি প্রতিষ্ঠান।
এসব ব্যাংক সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ও মোবাইল-এপনির্ভর সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যেখানে গ্রাহকরা স্মার্টফোন বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা পেতে পারবেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।
প্রার্থী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতে কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং গ্রাহক-বন্ধুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই ডিজিটাল ব্যাংক চালু করা হবে। এ ব্যাংকের জন্য শাখা, উপশাখা বা এটিএম বুথের প্রয়োজন হবে না; সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সহজ করা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করে। প্রাথমিক নীতিমালায় ন্যূনতম মূলধন ধরা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা, যা পরে সংশোধন করে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূলধন ৫০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে প্রদান করা হবে, এবং পেমেন্ট সেবা পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন অনুসারে।
এর আগে, ২৬ আগস্ট ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদন আহ্বান করা হয়। প্রাথমিকভাবে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, তবে আবেদনকারীদের পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি ও প্রয়োজনীয় দলিলপত্র সংগ্রহের জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছিল।
এসআর
মন্তব্য করুন: