[email protected] শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
১৬ কার্তিক ১৪৩২

গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব, বাড়বে সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ৪:৩৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ মতামতের আলোকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি তা অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে।

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স, ১৯৮৬) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ১৫তম অবস্থানে রয়েছেন। একই অবস্থানে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিজিএ), ও ন্যায়পাল। মর্যাদার দিক থেকে গভর্নরের অবস্থান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের নিচে হলেও সরকারের সচিবদের ওপরে।

সংশোধনী খসড়া অনুযায়ী, গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বেতন-ভাতা, বাসস্থান, যানবাহন, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে।

‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০১৬’-এর অধীনে একজন মন্ত্রী যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন—

  • বেতন: মাসিক ১ লাখ ৫ হাজার টাকা (করমুক্ত)
  • দৈনিক ভাতা: ২ হাজার টাকা
  • নিয়ামক ভাতা: মাসিক ১০ হাজার টাকা
  • স্বেচ্ছাধীন তহবিল: বছরে ১০ লাখ টাকা
  • মোবাইল ফোন কেনার জন্য: ৭৫ হাজার টাকা
  • সরকারি বাসভবন: সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে রক্ষণাবেক্ষণ, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন বিল প্রদান
  • বাসা ভাড়া: সরকারি বাসায় না থাকলে মাসিক ৮০ হাজার টাকা
  • যানবাহন সুবিধা: সার্বক্ষণিক সরকারি গাড়ি, ঢাকার বাইরে অফিসিয়াল সফরে অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি (সব খরচ সরকারি)
  • নিরাপত্তা: সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী
  • ভ্রমণ সুবিধা: নিজ ও পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ খরচ; দুইজন গৃহকর্মীর ভ্রমণ ব্যয়ও বহন করে সরকার
  • জনবল:
    • একজন উপসচিব পদমর্যাদার একান্ত সচিব
    • সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব
    • ক্যাডারের বাইরে থেকে একজন সহকারী একান্ত সচিব
    • জাতীয় বেতন স্কেলে ১০ম গ্রেডের দুই কর্মকর্তা
    • একজন জমাদার, একজন আর্দালি, দুইজন এমএলএসএস, এবং একজন পাচক বা পিয়ন

গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাতন্ত্র্য, প্রশাসনিক ক্ষমতা ও আর্থিক নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের অনুমোদনের পরই জানা যাবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর