দেশের বর্তমান অর্থনীতিতে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে— বিনিয়োগে স্থবিরতা, ঋণ সংকোচন এবং উচ্চ সুদের হার।
এসব কারণে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশিত জিইডির ‘মাসিক ইকনোমিক আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে জমা বাড়লেও ঋণ বিতরণে অনীহা দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায় আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, যার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড নিম্ন ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বিপরীতে সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশে, ফলে ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরতা আরও বেড়েছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করছে। যদিও চালসহ কিছু খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে, সামগ্রিক মূল্যচাপ এখনও অব্যাহত।
অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে একই সময়ে রপ্তানি আয় কমে সেপ্টেম্বর মাসে দাঁড়িয়েছে ৩,৬২৭ মিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় নিম্নমুখী।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, রাজস্ব আদায় ২১ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি রয়ে গেছে।
জিইডির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ না বাড়লে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই রাখা কঠিন হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: