[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
৩০ আশ্বিন ১৪৩২

করজাল সম্প্রসারণে নতুন ১২ কাস্টমস হাউজ ও ভ্যাট কমিশনারেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ৯:৫৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

দেশের করজাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে সারা দেশে নতুন ১২টি কাস্টমস হাউজ ও ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নতুন ইউনিটগুলোতে ৩ হাজার ৫৯৭টি পদে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সব প্রশাসনিক অনুমোদন সম্পন্ন হওয়ার পর আইআরডি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
তিন ধাপে পাঁচটি নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিশনারেট, চারটি নতুন কাস্টম হাউজ এবং তিনটি বিশেষায়িত দপ্তর গঠন করা হবে।

নতুন কাস্টম হাউজ

  • কাস্টম হাউজ (চট্টগ্রাম আইসিডি)
  • কাস্টম হাউজ (সাতক্ষীরা) ভোমরা
  • কাস্টম হাউজ (কক্সবাজার) মাতারবাড়ী
  • বে-কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম

নতুন ভ্যাট কমিশনারেট

  • কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কক্সবাজার
  • কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, বরিশাল
  • কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, গাজীপুর
  • কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, নারায়ণগঞ্জ
  • কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ময়মনসিংহ

 নতুন বিশেষায়িত দপ্তর

  • ইকোনমিক জোন কমিশনারেট, ঢাকা
  • ইকোনমিক জোন কমিশনারেট, চট্টগ্রাম
  • কাস্টমস কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগার কমিশনারেট

এনবিআর জানায়, এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সক্ষমতা, রাজস্ব আহরণ ও সেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। এতে পরোক্ষ কর আহরণ সহজ হবে, কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নেও সহায়তা করবে।

একজন এনবিআর কর্মকর্তা জানান, নবগঠিত দপ্তরগুলোতে শিগগিরই জনবল পদায়ন শুরু হবে এবং ধাপে ধাপে নতুন নিয়োগও দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অনুবিভাগের বর্তমান কাঠামো অনুমোদিত হয়েছিল ২০০৯–১০ অর্থবছরে। বর্তমানে দেশে রয়েছে—৬টি কাস্টম হাউজ, ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট, ২টি বন্ড কমিশনারেট, ৪টি আপিল কমিশনারেট, একটি এলটিইউ (মূসক), ২টি অধিদপ্তর, ১টি পরিদপ্তর এবং ১টি শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট।

তবে এনবিআর জানায়, গত দুই দশকে রাজস্ব আহরণ ৭২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যমান কাঠামো সেই পরিধি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এই সময়ে নিবন্ধিত মূসক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২১৫ শতাংশ, রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৬ শতাংশ, আমদানি বেড়েছে পাঁচগুণ, রপ্তানি দ্বিগুণেরও বেশি, বন্ডেড প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৬৬ শতাংশ, আর যাত্রী আগমন-বহির্গমন বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়গুণ।

এনবিআর মনে করে, নতুন কাঠামো চালু হলে এই প্রবৃদ্ধি ব্যবস্থাপনায় আসবে আরও কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর