[email protected] রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৩ আশ্বিন ১৪৩২

ব্যাংক লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭:৪৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

গত ১৬ বছরে ব্যাংক খাত থেকে অর্থ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, “কেউই ছাড় পাবে না, প্রত্যেক টাকার হিসাব নেওয়া হবে।”

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের নাম উল্লেখ করে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, “তিনি বর্তমানে অন্য মামলায় আটক আছেন। তবে তার আর্থিক অনিয়মের বিষয়েও মামলা হবে। বারকাত সাহেবের আমলে যে ঋণ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে যাঁরা আর্থিক খাতে অপরাধ করেছেন, তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

তিনি জানান, আর্থিক খাতের অনিয়মের মামলা করতে যথেষ্ট নথিপত্র প্রয়োজন হয়, হুট করে করা যায় না। তাই যাঁরা টাকা পাচার বা লুটপাটে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে যাচাই করা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে মামলা করা হবে।

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, “টাকা পাচার বন্ধে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স (এমএলএ) চুক্তি করছি। ভবিষ্যতে এমন আইন করা হবে যাতে কেউ টাকা পাচারের কথা ভাবলেও দশবার চিন্তা করবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি জানান, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে, তা ফেরত আনতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে প্রতিটি দেশের আইন-কানুন ভিন্ন হওয়ায় এ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হচ্ছে। সুইজারল্যান্ড, দুবাই, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে অনেক পাচারকারী স্থায়ী নাগরিকত্ব বা আবাসনের সুযোগ পেয়েছেন, ফলে টাকা ফেরত আনার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে

অর্থনীতিবিদ আনিসুজ্জামান বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও সম্মান এত বেশি যে, তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো সহযোগিতা চাইলে কোনো দেশ তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। এটি আমাদের জন্য বড় সুবিধা।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক দেশে বিপ্লব বা ক্ষমতার পরিবর্তনের পর জিডিপি হ্রাস পায়, বেকারত্ব বাড়ে এবং দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বমুখী হয়। “কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশে তা হয়নি,” যোগ করেন তিনি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর