হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় চালু হচ্ছে ‘অগ্রণী-দুয়ার ব্যাংকিং’ সেবা।
এতে করে সারাদেশে সেবা থেকে বঞ্চিত প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক এবং কর্মহীন হয়ে পড়া ৩ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উদ্যোক্তার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
সরকারি মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি গত ২০ জুন হঠাৎ করে ‘অগ্রণী-দুয়ার ব্যাংকিং’ এজেন্ট সেবা বন্ধ ঘোষণা করে।
এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়। অনেক স্থানে গ্রাহকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ‘দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসি’ একাধিকবার অনুরোধ করেছিল, বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন মডেল তৈরির সুযোগ দিতে। আলোচনাপূর্ণ পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তকে অনেকেই দায়িত্বহীন এবং চুক্তিভঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করেন।
পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির পর, দুয়ার কর্তৃপক্ষ আইনগত পদক্ষেপ নেয় এবং বিষয়টি হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
৮ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে অগ্রণী ব্যাংককে ২১ জুন ২০২২ সালের এজেন্ট চুক্তি অনুযায়ী ‘অগ্রণী-দুয়ার ব্যাংকিং’ সেবা পুনরায় চালু করতে এবং এতে কোনো বাধা না দিতে নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশনার ফলে সারা দেশের ৫০০-এর বেশি আউটলেট ও ৩,০০০ কর্মী তাদের কাজে ফিরতে পারবেন। এতে করে গ্রামীণ জনগণ আবারও নিরাপদ ও সহজে সঞ্চয়, জমা ও উত্তোলনের সুযোগ পাবেন, যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আস্থার পুনর্গঠনে সহায়ক হবে।
দুয়ার সার্ভিসেস জানায়, হাইকোর্টের লিখিত আদেশ পাওয়ার পর তা অগ্রণী ব্যাংকে সরবরাহ করা হবে।
ইতোমধ্যে আইনজীবীর প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—এই আদেশ লঙ্ঘন আদালত অবমাননার শামিল হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: