[email protected] শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
৬ আষাঢ় ১৪৩২

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ ২৩ গুণ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৫ ৮:৪২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ এক বছরে প্রায় ২৩ গুণ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) প্রকাশিত সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।

এর আগে ২০২৩ সালের শেষে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ, যা ছিল প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে এই অর্থ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ।
২০২২ সালের শেষে জমা ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ ফ্রাঁ, অর্থাৎ প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।

এসএনবির তথ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর সুইস ব্যাংকের কাছে পাওনা, আমানতকারীদের জমা অর্থ এবং সুইস পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে করা বিনিয়োগ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা মোট অর্থের প্রায় ৯৫ শতাংশই বাণিজ্য সংক্রান্ত ব্যাংকিং লেনদেনের অংশ, যা মূলত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক ব্যাংকিং চ্যানেলে রাখা অর্থ।

তবে, অর্থ পাচারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এই টাকার একটি অংশ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থও হতে পারে। তবে সুইজারল্যান্ড সরকার এখনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামসহ নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

বাংলাদেশের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং সুইস এফআইইউর (ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) মধ্যে একাধিকবার যোগাযোগ হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিভিত্তিক তথ্য বা তালিকা হাতে পাওয়া যায়নি।

সুইস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি অর্থ পাচারের প্রমাণসহ উপাত্ত সরবরাহ করা হয়, তাহলে তারা তথ্য দিতে সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য দেশের পরিচয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রাখেন, তাহলে সেই অর্থ এই প্রতিবেদনের বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয় না। তাছাড়া, ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা, শিল্পকর্ম বা মূল্যবান সংগ্রহও এ হিসাবের আওতায় পড়েনি।

বিশ্বের অনেক দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার কারণে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংককে অর্থ এবং মূল্যবান সম্পদ সংরক্ষণের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর