[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৫ আষাঢ় ১৪৩২

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই’ — দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৫ ২:১৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে "হতাশাজনক" আখ্যা দিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে সিটিজেন প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: অবহেলিতরা কী পেয়েছে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে মানুষের প্রত্যাশার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটি অনেকটা হতাশার বাজেটে পরিণত হয়েছে। সরকার যদিও ‘অসাধারণ’ পরিস্থিতির দাবি করে, বাজেট প্রস্তাব ছিল পুরনো ধাঁচের ও গতানুগতিক।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর জনগণের মাঝে নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দাবিদাওয়ার যথাযথ প্রতিফলন বাজেটে নেই।”

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র সংকুচিত করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা মাত্র ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করা হয়েছে, কিন্তু মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে প্রকৃতপক্ষে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় কমেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের বাজেট শুধু চলতি বছর নয়, ভবিষ্যতের বাজেট প্রণয়নেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”

সংলাপে অংশ নিয়ে হিসাববিদ জিয়া হাসান বলেন, “মূল্যস্ফীতির কারণে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছে, কিন্তু বাজেটে এই বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।”

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইসিএমএবি)-এর সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ক্যাপিটাল মার্কেট কার্যত ধ্বংসপ্রাপ্ত। বাজেটে এ খাতের জন্য কোনো প্রণোদনা বা পরিকল্পনা রাখা হয়নি।”

তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী সঞ্জিবনী সুধা বলেন, “বাজেটে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবায়ন হয় না। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় না, জীবনের মান উন্নয়ন ঘটে না। ফলে আমাদের পথেই হাত পাততে হয় জীবিকা নির্বাহের জন্য।”

সংলাপে বক্তারা সার্বিকভাবে প্রস্তাবিত বাজেটকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলেই অভিহিত করেন। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর