জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে নতুন কাঠামো গঠনের সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। একই বার্তা প্রেসসচিব শফিকুল আলমও শেয়ার করেছেন।
পোস্টে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বড় ধরনের কাঠামোগত সংস্কার শুরু করেছে। এর আওতায় এনবিআর ভেঙে দুটি আলাদা সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি হবে রেভিনিউ পলিসি ডিভিশন (কর নীতিমালা বিভাগ) এবং অন্যটি রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন (কর ব্যবস্থাপনা বিভাগ)।
এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো—কর নীতিনির্ধারণ এবং প্রশাসনিক বাস্তবায়নের কাজ আলাদা করে দক্ষতা বাড়ানো, স্বার্থের দ্বন্দ্ব কমানো এবং করের আওতা বাড়ানো।
প্রায় ৫০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ট্যাক্স-টু-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭.৪ শতাংশ, যা এশিয়ায় সর্বনিম্নদের মধ্যে অন্যতম। তুলনামূলকভাবে, বৈশ্বিক গড় ১৬.৬ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ায় এটি ১১.৬ শতাংশ।
দেশের উন্নয়ন চাহিদা পূরণে এই অনুপাত অন্তত ১০ শতাংশে উন্নীত করাই সরকারের লক্ষ্য।
সরকার বলছে, একই সংস্থার অধীনে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন থাকলে স্বার্থের সংঘাত এবং অদক্ষতা দেখা দেয়।
ব্যবসায়ী মহল বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, এনবিআরের কর নীতিগুলো প্রায়ই রাজস্ব আদায়ের উপর অতিরিক্ত জোর দেয়, যা ন্যায্যতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
এনবিআরের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো:
সরকার মনে করছে, নতুন কাঠামোর মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে একটি আধুনিক ও কার্যকর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: