editor.protidinerbangla@gmail.com মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২৬ ভাদ্র ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে দাবি

তদন্তপূর্বক দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তা তাজুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪ ৫:১১ পিএম

দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তা ড. তাজুল ইসলাম।

কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের দাতা সদস্য হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছেন।

এমনই একটি ফেসবুক পোস্টে আয়ের উৎস জানতে চেয়ে মন্তব্য করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রাণনাশের হুমকিতে চার মাসযাবত বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

তদন্তপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রদানে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান খান।

গতকাল শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মেহেদী হাসান খান জানান, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে ও তার পিতা নায়েব আলী খানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তার হুমকির শিকার হয়েছেন আরো একাধিক ব্যক্তি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করার পর তাজুল ইসলাম নোঙ্গর কমিউনিটি সেন্টার ও তার গ্রামের বাড়ীতে গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে ৭০ জনের মত সন্ত্রাসী পাঠায়।

পরে তিনি ফোনে যোগাযোগ করে জানান, সেতো সরকারি ফান্ডের টাকা লুটপাট করে ফুলবাড়ীয়ায় আনছে, লোকজনের চাকুরি দিচ্ছে। সেতো আমাদের টাকা লুটপাট করছে না।

এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বললে প্রাণে মেরে ফেলার ও কমিউনিটি সেন্টারে তালা মারার হুমকি দেয়। পরে জোবায়ের রহমান তৌহিদ নামের এক সন্ত্রাসীও পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এছাড়াও তাজুল ইসলাম স্বশরীরে ৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে কোনো কথা বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসেন।

তিনি আরও জানান, ড. তাজুল সরকারি চাকুরীজীবি হয়েও প্রকাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিটিংয়ে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। যা সরকারি চাকুরি বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ডোনেশন দেন।

কিন্তু একজন সরকারি চাকুরিজীবীর এতো টাকা বেতন না হলে এই টাকা তিনি কোথা থেকে আনছেন। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে দুই’শ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক।

ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালীন ভর্তি বাণিজ্যে জড়িত থাকায় তাকে সেখান থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেসব তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোড় দাবি জানান ভুক্তভোগী।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর