প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ধারা বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ধীরে ধীরে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বাড়ার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬,৫১৫.৯৯ মিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রণীত হিসাবপদ্ধতি ব্যালান্স অব পেমেন্টস ম্যানুয়াল ৬ (BPM6) অনুযায়ী, এই রিজার্ভের পরিমাণ ২১,১৭৫.৫৪ মিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ৮ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) এর দেনা হিসেবে বাংলাদেশ প্রায় ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ১৯.৭০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। তবে পরবর্তী সময়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভে পুনরুদ্ধার শুরু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি মাসের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬.১৫ বিলিয়ন ডলার, আর ১৩ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬.৩৮ বিলিয়ন ডলারে। একই সময় BPM6 অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২১.১১ বিলিয়ন ডলার, যা এখন বেড়ে ২১.১৭ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আরও জানান, আইএমএফ-এর ঋণচুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে নির্ধারিত নেট রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে তারা আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমাদের রিজার্ভ এখন সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে এবং আইএমএফের শর্ত পূরণে আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের সরকারের আমলে স্থগিত থাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ এখনও বিদ্যমান। যার ফলে রিজার্ভ বাড়লেও তা ধীর গতিতে এগোচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: