রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ও ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিদল। রাজস্ব আহরণ বাড়ানো এবং ব্যাংক খাতের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা।
রোববার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন আইএমএফের মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বাধীন দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি জানান, চলতি বছরের জুন মাসে আইএমএফের কাছ থেকে দুটি কিস্তিতে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি। সেই লক্ষ্যে মে ও জুন মাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে মিশনটি।
বৈঠকে রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার দুর্বলতা, কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির কৌশল এবং বাজেট ঘাটতি মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। করনীতি ও কর আদায় বিভাগকে পৃথক করার বিষয়েও প্রস্তাব ওঠে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আইএমএফ মনে করছে, দেশের করজাল এখনো অনেক সীমিত। লাখ লাখ করদাতা শূন্য রিটার্ন জমা দেয়। তারা একক ভ্যাট হার দেখতে চায়, যদিও আমরা তাতে সরাসরি যেতে পারব না।”
ব্যাংকিং খাত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএফ। ঋণখেলাপি সমস্যা, খারাপ ঋণ কমানো এবং প্রয়োজনে আইন সংস্কার নিয়ে আলোচনায় এসেছে। অর্থ উপদেষ্টা জানান, ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে আইএমএফ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য মিশনটি রাজস্ব পরিস্থিতি, কর-জিডিপি অনুপাত, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত এবং বাজেট ঘাটতির দিকগুলো খতিয়ে দেখবে। তবে সংস্কারের বিষয়ে বাংলাদেশ ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: