জাতীয় চা দিবস আজ মঙ্গলবার (৪ জুন)। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে এবার চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ পালন এবং দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া। এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য–
‘স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প’। দিবসটি উদযাপনে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ছবির প্রতি এমন ‘ভালোবাসা’ প্রদর্শনের জন্য হেড স্যারকে লাঞ্ছিত হতে দেখেছিমূল আলোচনা অনুষ্ঠান এবং মেলা আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
চা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা শিল্পের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের চা শিল্প এখন টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। গত দুই দশকে উত্তরাঞ্চলে সমতল ভূমিতে চা আবাদে বিপ্লব ঘটে গেছে।
চা দিবস উদযাপনের বিস্তারিত তুলে ধরতে ব্রিফিং করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। চায়ের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটেগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি ও ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, দেশে বর্তমানে ১৬৮টি বৃহৎ চা বাগান এবং প্রায় ৮ হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী সব উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও সরকারের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশের চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব সেলিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ প্রমুখ।
দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: