১১ দফা দাবিতে মতিঝিলে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

শেয়ারবাজারে চলমান সংকটের প্রতিবাদ ও পুঁজি রক্ষার দাবিতে মতিঝিলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে তারা ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী অংশ নেন।

বিনিয়োগকারীদের ১১ দফা দাবি

১. বিএসইসি ও আইসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন: বর্তমান চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
2. গেইন-ট্যাক্স প্রত্যাহার: বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় শেয়ারবাজার থেকে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।
3. অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ: তদন্ত বা জেড গ্রুপে প্রেরণের মতো অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এড়াতে হবে।
4. জেড ক্যাটাগরি নীতি সংস্কার: জেড ক্যাটাগরিতে কোম্পানি স্থানান্তরের নীতিমালা সংশোধন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে।
5. লভ্যাংশ ন্যূনতম ৫০% করা: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে আয়ের অন্তত ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।
6. প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণ: ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শতভাগ বিনিয়োগ কার্যকর করতে হবে।
7. টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন: সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।
8. ন্যূনতম শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা: কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে।
9. বিএসইসি কর্তৃক মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারে আনা: অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত বাজারে নিয়ে আসতে হবে।
10. ফোর্স সেল বন্ধ: বিনিয়োগকারীদের ওপর অযাচিত ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।

বিনিয়োগকারীরা দাবি করেন, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না হলে শেয়ারবাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে, যা অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। তাদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।