আগামী আড়াই বছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
তবে, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে আপাতত ৫টি সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার মাল্টিপারপাস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বেজা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি জানান, সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, তবে আপাতত পাঁচটি সরকারি অঞ্চলে কার্যক্রম চালানো হবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, "১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছি না। তবে আমাদের উদ্দেশ্য, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ১০টি অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করা। প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি অঞ্চলকে পূর্ণাঙ্গভাবে শিল্পায়িত করে পরবর্তীতে অন্য অঞ্চলগুলোর কাজ শুরু করা হবে। আমরা দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে শিল্প ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে আগ্রহী, মুনাফা নয়," বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা এখনো এসব অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম হইনি, তবে ২০২৬ সালের মধ্যে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হবে, যাতে সেগুলিতেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।"
চেয়ারম্যান আরও জানান, "আগামী দুই বছরের মধ্যে আড়াই লাখ বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য রয়েছে। সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে, এবং আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। তবে, বেজা সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।"
এ সময় বেজার ওয়েবসাইট থেকে ৬০টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু রয়েছে এবং আরও কিছু সেবা চালুর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। এছাড়া, "আমরা বেজাকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে এবং কাগজমুক্ত ডিজিটাল অফিস প্রতিষ্ঠার কাজ করছি," বলেন বেজা চেয়ারম্যান।
এসআর
মন্তব্য করুন: