[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৪০ পিএম

ডলারের মূল্য বৃদ্ধি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর আগ্রহ বাড়িয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ঋণ ও অনুদান যোগ হওয়ায় রিজার্ভের এই বৃদ্ধি আরও দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.০৯ বিলিয়ন ডলার।

 

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ নিয়ম অনুযায়ী হিসাব করলে দেশের নিট রিজার্ভ ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা এবং বিদেশি অনুদানের কারণে রিজার্ভে এই বৃদ্ধি ঘটেছে। তবে আইএমএফের মান অনুযায়ী নিট রিজার্ভ নির্ধারণ করতে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করতে হয়।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের একটি আলাদা হিসাব রাখে, যেখানে আইএমএফের বিশেষ ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর), ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং, এবং আকুর বিল বাদ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে প্রতিমাসে ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।

 

ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসীরা বৈধ পথে দেশে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৯,০৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮.৬৪ কোটি ডলার।

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ডলারের বিনিময় হার দীর্ঘদিন স্থিতিশীল ছিল। তবে গত সপ্তাহে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর দাম কিছুটা বেড়েছে। ডলারের এই মূল্য বৃদ্ধি প্রবাসীদের বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করেছে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

 

রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং আন্তর্জাতিক ঋণ ও অনুদান প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ সীমিত হওয়ায় আমদানি খরচ ও অন্যান্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর