বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই করছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ডলারের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় আগস্ট মাস থেকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ঋণের স্থিতি কমেছে। আমদানিও বাড়তে শুরু করেছে, ফলে আমদানির ক্ষেত্রে স্থবিরতা কাটতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ২০ দিনে বাংলাদেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ১২২ কোটি ডলার, আর গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ৫০ কোটি ডলার। রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা ডলার তুলে আনার কারণে গ্রস রিজার্ভে কিছুটা কমতি এসেছে, তবে সেই অর্থ নিট রিজার্ভে চলে আসায় নিট রিজার্ভ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ০.১৭ শতাংশ বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮.৫ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক ভালো ফলাফল।
বাজারে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমদানির ব্যয়ও বেড়ে গেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আমদানি ব্যয় কমেছিল, তবে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি ব্যয় ৩.১১ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত নভেম্বরে রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকুর) এর দেনা বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের থেকে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি ডলারে নেমে আসে। ওই সময় আরও কিছু দেনা শোধ করা হয়। জানুয়ারিতে নভেম্বর-ডিসেম্বরের দুই মাসের আকুর দেনা পরিশোধ করতে হবে, যার ফলে রিজার্ভ আবার কিছুটা কমতে পারে।
তবে, বর্তমান সরকারের সময়ে, পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায়, দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগে অনবরত দেশ থেকে টাকা পাচার হওয়ার প্রবণতা থাকলেও বর্তমানে তা কমেছে, যার ফলে রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: