লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধির পরও বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট কাটেনি।
খুচরা বাজারে এক লিটারের বোতল সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, দুই, তিন ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। উপরন্তু, সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে ক্রেতারা অতিরিক্ত দামে তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন, ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি করেছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সরকার প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে এই দামে তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়, আর বোতলজাত এক লিটারের তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
জিনজিরা কাঁচাবাজারের মুদি বিক্রেতা সোহেল বলেন, “পাঁচ লিটারের তেল ৮৩৭ টাকায় কিনে ৮৫২ টাকায় বিক্রি করছি। তিন লিটারের বোতল তেল ৫১৬ টাকায় কিনে ৫২৫ টাকায় বিক্রি করছি।
খোলা সয়াবিন ডিলারদের কাছ থেকে ১৮৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এক লিটারের বোতল এখনও সরবরাহ করেনি ডিলাররা।”
তিনি আরও জানান, ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকার নির্ধারিত মূল্য আরও বাড়ানোর অপেক্ষায় আছে। বিক্রেতারা এখন লিটারপ্রতি মাত্র ৩ টাকা লাভ করছে, যেখানে আগে ৪-৫ টাকা লাভ হতো। এতে ভোক্তা এবং বিক্রেতা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, “দাম বাড়ানোর পরও বাজারে সঠিকভাবে তেলের সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি।
ক্রেতারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এই অবস্থায় সরকারকে বাজার তদারকির পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর অনিয়ম খতিয়ে দেখতে হবে।
অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সরকারের দায়িত্বশীল তদারকি এবং বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত না হলে ক্রেতাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: