[email protected] মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬:৪৭ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

 তিনি বলেছেন, জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।

বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি এই কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই তিনটি ক্ষেত্রেই যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে জাপান সরকারের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাপানি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক সবসময়ই শক্তিশালী ছিল।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।”

রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি জানান, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে কোনো জাপানি কোম্পানি চলে যায়নি, বরং তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।”

তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান, যেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, “এ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারেন।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।”

অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত নিরাপদ একটি এলাকা তৈরি করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাতের পর বাস্তুচ্যুত জনগণ তাদের বাড়িতে ফিরতে আগে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত হতে পারে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর