বাজারে কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর ফের বাড়ছে ডিম, ছোলা এবং পাম তেলের দাম।
বাজারে যথাযথ তদারকি না থাকায় পণ্যগুলোর দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকায়। একইভাবে, পাম তেলের দামেও বৃদ্ধি দেখা গেছে। প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৮-১৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫৭-১৫৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিক্রেতারা জানান, ডিমের দাম ১৩৫-১৫০ টাকার মধ্যে ছিল, তবে এখন তা ১৪৪-১৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময় ডিমের দাম ছিল ১১৪-১২৬ টাকা।
এ বিষয়ে নয়াবাজারের ডিম বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঝে মাঝেই ডিম নিয়ে কারসাজি করেন। তদারকি সংস্থার নজরদারি না থাকলে তারা দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করেন।
এদিকে পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ১৫৮-১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ১৫৪-১৫৫ টাকা। গত বছর এই সময় পাম তেলের দাম ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। সুপার পাম তেলও ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৬১ টাকা।
রোজা উপলক্ষে ছোলার দামেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলা ৫ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৮৫-৯০ টাকা।
এ ছাড়া, চালের দামেও কিছুটা পতন ঘটেছে। সরু চালের দাম বর্তমানে ৬৮-৮০ টাকা কেজি, মাঝারি চাল ৫৮-৬৩ টাকা, এবং মোটা চাল ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিলাররা বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছে বলে জানিয়ে কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমন ধানের চাল বাজারে আসলেও পাইকারি বাজারে দাম কমেনি, যার কারণে খুচরা বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
এছাড়া বাজারে আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের দামও বাড়ছে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, প্যাকেটজাত আটা ৫৫ টাকা, ময়দা ৬০ টাকা, এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা লিটার, দুই লিটারের বোতল ৩৪০ টাকা, এবং পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮১৮ টাকায়।
বাজারে এই সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: