[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৮ পৌষ ১৪৩১

২১ টাকা কেজির আলু খুচরায় ৭৫ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১:২৯ এএম

ফাইল ছবি

বাজারে আলুর সংকট না থাকলেও দাম বাড়ছে হু হু করে।

নতুন মৌসুমের আলু আসার পরও অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুল্কহার কমিয়ে আমদানি সহজ করলেও এ সিন্ডিকেট সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটতে ব্যস্ত।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ভারত থেকে আমদানিকৃত আলুর কেজিপ্রতি খরচ ২১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬০ পয়সা।

পরিবহন, মুনাফা ও অন্যান্য খরচ যোগ করলেও এই আলুর খুচরা মূল্য ৩০-৩৫ টাকা হওয়া উচিত। অথচ কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে এটি আড়তদার পর্যায়ে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খুচরা বাজারে ক্রেতারা এটি কিনছেন ৭৫ টাকায়।

পুরনো আলুর দামেও সিন্ডিকেটের প্রভাব
কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত পুরনো আলু, যার দাম কেজিপ্রতি ৩৫-৪০ টাকা হওয়া উচিত, তা বিক্রি করা হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। এই আলু পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের জন্য আরও চড়া দামে, ৭৫-৮০ টাকায় পৌঁছাচ্ছে।

বাজারে আলু কিনতে আসা আমেনা বেগম বলেন, "শীত আসার আগে আলুর দাম কমার কথা থাকলেও এখন তা বিপরীত। ২৫ টাকার আলু কিনতে হচ্ছে ৭৫ টাকায়। অথচ বাজারে কোনো সংকট নেই।"

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, "সিন্ডিকেট ভাঙতে কোনো সরকারই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।

চাঁদাবাজি বন্ধের পর কিছুদিন পণ্যের দাম কমলেও সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।"

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, "আমদানিকারকদের ২১ টাকায় কেনা আলু কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।"

দেশি পেঁয়াজ: ১২০-১৩০ টাকা/কেজি, আমদানি করা পেঁয়াজ: ১০০-১০৫ টাকা/কেজি,  কাঁচা মরিচ: ১৪০-১৬০ টাকা/কেজি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি: ৫০-৬০ টাকা/টি, ব্রয়লার মুরগি: ১৯০ টাকা/কেজি ও ডিম: ১৪৫-১৫০ টাকা/ডজন। 

বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে সিন্ডিকেট ভোক্তাদের জন্য অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর মনিটরিং ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর