[email protected] রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫ পৌষ ১৪৩১

আইইবির ৬১তম কনভেনশনে আগামীকাল আসছেন প্রধানমন্ত্রী, আইইবির১০ দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৪ ৫:৫২ পিএম
আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ৫:৫৯ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

৬১তম কনভেনশনে আগামীকাল আসছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬১ তম কনভেনশন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইইবির মুখ্য পাত্র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপির সভাপতিত্বে
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড.হাবিবুর রহমান, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন,সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

 

সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করছি বিভিন্ন বড়-বড় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্পে কারিগরি জ্ঞানহীন একটি বিশেষ ক্যাডারের চাকুরীরত বা অবসর প্রাপ্ত সদস্যদের পিডি হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। কারিগরি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষা ও জ্ঞানহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগের কারণে প্রকল্পের গতি ব্যাহত হবে। কারিগরী জ্ঞানহীন বা প্রকৌশল কাজে চর্চাবিহীন বক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে পিডি হিসেবে নিয়োগ করা জাতীয় স্বার্থে অপরিহার্য।

 

দেশের প্রকৌশল পেশার মানোন্নয়নে আইইবির সম্মানি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু সাংবাদিকদের সামনে কয়েকটি দাবি আইইবির পক্ষে তুলে ধরেন।

 

বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সর্বোচ্চ জাতীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান আইইবি। এসময় বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ গঠনে প্রকৌশল সংস্থাসমূহে শীর্ষপদগুলোতে অপ্রকৌশলী ব্যক্তিদের স্থলে প্রকৌশলীদের পদায়ন করা।

•প্রকৌশলীদের পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করা •প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকৌশল উইং সৃষ্টি করা,ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ এ প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত মর্যাদা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত করা,কারিগরি জ্ঞানহীন বা প্রকৌশল কাজে চর্চাবিহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে পিডি হিসেবে নিয়োগ করা, 'এলজিইডি’, 'টেক্সটাইল' ‘কৃষি কৌশল’ এবং ‘আইসিটি’ ক্যাডার বাস্তবায়ন করা জরুরী,২০০৬ সাল থেকে বিসিএস টেলিকম ক্যাডারের বন্ধকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের 'সিনিয়র সার্ভিস পুল' অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া, পলিটেকনিক শিক্ষকদের বর্তমান চাকুরী কাঠামো পরিবর্তন করা, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)’র নিয়ন্ত্রণাধীন সকল বিদ্যুৎ সেক্টরকে একই আম্ব্রেলাভুক্ত করা, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি জেলার ডিসি কার্যালয়ে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং প্রতিটি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক সিনিয়র প্রকৌশলীরা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জুনিয়র কর্মকর্তাদের দিয়ে তাদের কাজ পরিদর্শন করা সিনিয়র প্রকৌশলীদের জন্য অবমাননাকর। সুতরাং উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করা প্রমুখ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর