শীতকালীন সবজি সরবরাহ বাড়ার ফলে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও মুরগির দামে উল্লেখযোগ্য হ্রাস লক্ষ করা যাচ্ছে।
তবে আলুর মূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলছে এবং নতুন আলু বাজারে না আসা পর্যন্ত এর দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে বিক্রেতারা মনে করছেন।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, আলুর দাম এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ টাকা ও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
বিক্রেতাদের মতে, আগের সপ্তাহে আলুর দাম ছিল ৬৫ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে তা ৬০ টাকার মধ্যে ছিল।
পাইকারি বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা ছিল।
এদিকে সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। সিম ও কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা কমে যথাক্রমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, পটোল, ঢেঁড়সসহ অন্যান্য সবজি দামেও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
তাজা সবজির পাশাপাশি শীতকালীন শাকের বাজারেও স্বস্তি রয়েছে। লালশাক, লাউশাক, মুলাশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক ও ডাঁটাশাকের দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পেঁয়াজের দাম এখনও বেশ চড়া। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ও রসুনের দামেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে।
নতুন আলু ১২০ টাকায়, বগুড়ার আলু ১০০ টাকায় ও পুরান আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের দাম কিছুটা বেশি।
মুরগির বাজারে দাম কমতে দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে এর চেয়ে ৪০ টাকা বেশি ছিল। দেশি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৫২০ টাকায় স্থির রয়েছে।
গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে ইলিশ মাছের দাম আকারভেদে প্রতি কেজি ১,০০০ থেকে ১,৮০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে শিং, রুই, মাগুর, পাঙাশ, চিংড়ি ও কাতল মাছের দামও নির্দিষ্ট পরিসীমায় বিক্রি হচ্ছে।
সর্বোপরি, রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজি ও মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও আলুর দামে চড়া পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: