[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে গভর্নর

ব্যাংকখাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হাসিনার ঘনিষ্ঠরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৪:৪০ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও ধনকুবেররা ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

ড. মনসুর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে এস আলম গ্রুপসহ বিভিন্ন ধনকুবের গোষ্ঠী ব্যাংকগুলো দখল করে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা) পাচার করেছে।

গভর্নরের বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, এসব ব্যাংক দখলের পর নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি করে অর্থ পাচার করা হয়। ড. মনসুরের মতে, এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে নজিরবিহীন ব্যাংক লুটপাট এবং এর পেছনে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ছিল।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপ ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিদিনই নিজেদের ঋণ দিতে থাকে, যা অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের সমান।

এস আলম গ্রুপের আইনজীবী কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গভর্নরের বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাচ্ছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে আইএসপিআর বা ডিজিএফআই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।

এই সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে।

ড. মনসুর জানান, কয়েকটি ব্যাংকের অডিটের মাধ্যমে এই অর্থপাচারের প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা আদালতে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং এসব শেয়ার জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর