রাজধানীর মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে জানুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে বাণিজ্যিক বিপণি বিতান।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটের ১৭টি স্টেশনে মোট ৩৩টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। এসব দোকানে পাওয়া যাবে খাবার, পোশাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। একই সঙ্গে ট্রেনের ভেতরে চালু হবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, মেট্রোরেল চালুর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে চার লাখের বেশি যাত্রী এ সেবা নিচ্ছেন।
যাত্রীদের সুবিধা বাড়াতে স্টেশনগুলোতে ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ চালু হয়েছে। এবার যাত্রীরা স্টেশনেই কেনাকাটার সুযোগ পাবেন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “আমরা চাই দোকানগুলো দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রী সেবা শুরু করুক।
ইতোমধ্যে ফুড ব্র্যান্ডিং মেশিন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।” তিনি আরও জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বা আগুন ব্যবহার করা যাবে না।
মেট্রো স্টেশনে দোকান চালুর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নগরবাসী। তাদের মতে, এটি সময় বাঁচাবে এবং যাত্রীসেবাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
এক যাত্রী বলেন, “মেট্রোরেলে যাতায়াতে সময় অনেকটা বাঁচে। এখন যদি খাবার বা নিত্যপণ্য কেনার সুযোগ পাই, সেটা আরও সুবিধাজনক হবে।”
আরেকজন যাত্রী বলেন, “মেট্রোরেল আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এই সুবিধা আরও বাড়াতে সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ প্রয়োজন।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দোকান চালুর পর স্টেশনগুলোর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: